নকলবনিশ ©
আজ আমি সত্যি মর্মাহত হয়ে এই পোস্ট লিখতে বসেছি। নতুনত্বের খুঁজে আমি বাল্য কালে নিখুঁজ হয়েছিলাম কল্পলোকে। তা সেই দুই হায়নেরও বেশি দিন আগের কথা বলছি। প্রথম তেমন খেয়াল করিনি। ভাবেছিলাম আমিতো কিছু শিখতে চাই না এবং কোনো কিছুতেই আমি মনোযোগ দেই না তাই হয়তো হয়েও হয় না। তা ছিল আমার ভ্রম। আমি দিগ্-ভ্রান্ত পথিক নয়। আমি জানি আমার গন্তব্য কোথায় এবং কোন পথে যেতে হবে। তাহলে দিগ্-দিগন্ত ঘুরে আমি দিগ্-দর্শনে ব্যর্থ কেন?
উত্তর, নতুনত্বের খুঁজে আমি নতুন হয়েছি। আমি নতুন কিছু শিখতে চাই, নতুন কিছু করতে চাই। অন্যরা নকলে সন্তুষ্ট। দেখে শুনে গায় এবং লেখে। তাতে ওরা মনে শান্তি পেলেও আমি স্বস্তি পাই না। না পাওয়ার কারণ আমি নতুন কিছু করার পণ করেছিলাম।
এতসব লেখার কারণ নিশ্চয় জানতে চান এবং আমিও আজ বলতে চাই।
বানান, ব্যাকরণ, সুর, ছন্দ, তাল, লয় হলো সংলাপ এবং সুরের ষোলকলা। অপারগ হলেও এই গোলা শিখতে হয়। না শিখলে এবং না জানলে অন্যরা হাসাহাসি করে। যদিও ওরা নিজেরা জানে না। আমাদের একটা বিশেষ গুণ আছে, নিজে পারি আর না পারি কিন্তু অন্যকে নিয়ে উপহাস আমরা করতে পারি। উৎসাহ দিতে আমরা নারাজ।
তাল সুর নিয়ে একটা পিডিএফ বানিয়েছি। ওটা আমি কাউকে দেব না। যাক, যে ফাইল বানিয়েছি এই ফাইল দেখে দেখে যে কেউ নিজে গান গেয়ে ইল্কেট্রনিক মিউজিক কম্পুজ করে একটা সিডি বানাতে পারবে। বাজারে আজ কাল হাজার হাজার সফট-ওয়্যার আছে। কিন্তু কেউ তা করবে না। আমাদের ব্লগেই আমি কয়েক জনকে শিখাতে চেয়েছিলাম। বিনিময়ে আমি শুধু তালের থোড়া জ্ঞান চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমাকে দেয়নি। তাতে আমি হতাশ হয়নি বিধায় আজ আমার কাছে সুরের ষোলকলা আছে। বানানে আমি কাঁচা ছিলাম। এখন আমার কাছে ১৩ খান অভিধান আছে। ব্যাকরণে সমস্যা, আমি নতুন ব্যাকরণ শুরু করেছিলাম। শেষ করতে হয়নি, মাত্র কয়েকটা বানান, যা সাধু এবং চলিতের কারণে বদলে।
সব শেষে একটা কথা বলতে চাই, নকল করতে হয় না, কারণ সাধকরা নকলনবিশ নয়। তবে যারা নকল করে এবং নতুন কিছু করতে চায় না ওরা অলস।